এই বছর জাতীয় পতাকা বিক্রি করে সামাল দিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। গত বছর করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউন চলার ফলে খুব বেশি বিক্রি হয়নি জাতীয় পতাকা। কিন্তু এই বছর ভিন্ন চিত্র। স্বাধীনতা দিবসের এক সপ্তাহ আগে থেকেই চাহিদা বেড়েছে পতাকার। বিক্রিও হয়েছে অনেক। পতাকা বিক্রি করে যে এতটা লাভ হবে তা বহু ব্যবসায়ীর কাছেই কল্পনাতীত বলে জানাচ্ছেন। বিক্রেতাদের কাছ থেকে জানা যায়, গত বছর যে পতাকা আনা হয়েছিল তার অধিকাংশ পতাকাই থেকে গিয়েছিল।
এই বছর যে পরিমাণ জাতীয় পতাকার চাহিদা তাতে গত বারের সব পতাকা বিক্রি হয়েছে, এবারে যেটুকু তোলা হয়েছিল তাও শেষ। মহম্মদবাজারের অধিকাংশ পতাকা বিক্রেতারাই এবার ১০ থেকে ১৭ হাজার টাকার পতাকা এনেছিলেন। তার মধ্যে ১ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা দামের পতাকাও রয়েছে। আর দু'দিন পরেই স্বাধীনতা দিবস। তার মধ্যেই অধিকাংশ পতাকা বিক্রি হয়ে গিয়েছে। হাতে গোনা এক-দুটি পতাকা পড়ে রয়েছে কোনও কোনও দোকানে। এই বছরের মতো চাহিদা অন্য বছর থাকে না বলেই দাবি বিক্রেতাদের।
মহম্মদবাজারের দুই পতাকা বিক্রেতা আশিস মণ্ডল ও মৌলানা জাহিদ হোসেন বলেন, “আমরা ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকার পতাকা নিয়ে এসেছিলাম এবার। যা বিক্রি হয়েছে তাতে আসল টাকা উঠে গিয়েছে। এখন যেগুলো বিক্রি হচ্ছে তা শুধুই লাভের অংশ।” এবার এক সপ্তাহ আগে থেকেই পতাকার চাহিদা দেখা গিয়েছে বাজারে। পটেলনগরের পতাকা বিক্রেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস জানান, তিনি এই বছর সাত হাজার টাকার জাতীয় পতাকা এনেছিলেন। দু-চারটে আছে আর তাঁর কাছে। ১৫ অগস্টের মধ্যে তাও থাকবে না বলেই মনে করছেন তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box