সুতপা চৌধুরীর খুনের ঘটনায় তাঁরা বাবা, মা ও বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করল বহরমপুর থানার পুলিশ । মঙ্গলবার বহরমপুর থেকে এক অফিসার - সহ মোট চার জনের একটি তদন্তকারীর দল মালদহে আসে । প্রথমে দুপুরে তদন্তকারীরা যান বৈষ্ণবনগরের রাজনগর গ্রামে , সুতপার মামাবাড়িতে ।সেখানে প্রায় দু'ঘণ্টা তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ পরিবারের করেন লোকজনের সঙ্গে।
পরে বিকেলে সুতপার বাবা স্বাধীন চৌধুরীকে সঙ্গে করে নিয়ে তাঁরা আসেন ইংরেজবাজার শহরের এয়ারভিউ কমপ্লেক্সের বাড়িতে। সেখানে স্বাধীনকে প্রায় এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন বহরমপুর থানার ওই তদন্তকারীরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা বাবা - মার কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে, মেয়ের খুনের ঘটনায় তাঁরা কী চান ?
সেই উত্তরে বাবা - মা দু’জনই অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীর ফাঁসির দাবি করেছেন। এ দিনের এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব নিয়ে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। গত ২ মে ভরসন্ধ্যায় বহরমপুরে খুন হন মালদহের মেয়ে সুতপা।তিনি বহরমপুর গার্লস কলেজে প্রাণীবিদ্যার তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন । বহরমপুরেই একটি মেসে তিনি থেকে পড়াশুনো করছিলেন ।
সেই খুনের ঘটনার তদন্তে এসে এ দিন সুতপার বাবা স্বাধীন , মা পাপুলি ও বোন প্রিয়সীর সঙ্গে কথা বলেন বহরমপুর থানার দলটি । পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে , একটি ঘরে তিন জনকে বসিয়ে কথা বলেন তাঁরা । প্রায় দু'ঘণ্টা ওই ঘরের দরজা বন্ধই ছিল । এর পরে স্বাধীন ও তাঁর শ্যালককে সঙ্গে নিয়ে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা গাড়ি করে চলে আসেন । ইংরেজবাজার থানায় ।
বিকেল পাঁচটা নাগাদ তাঁরা আসেন ইংরেজবাজারে সুতপার বাড়িতে । এখানেও স্বাধীনের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা ওই পুলিশ আধিকারিকরা । সুতপার মা পাপুলি বলেন , “ মেয়ের খুনের ঘটনায় আমরা কী চাই , তা তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন । আমরা অভিযুক্তর ফাঁসির দাবি করেছি । পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে আমার মেয়েকে অভিযুক্ত সুশান্ত যে ভাবে উত্ত্যক্ত করছিল , সেই ঘটনাগুলিও আমরা বলেছি । ” স্বাধীন বলেন , “ তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা আমাদের কাছে পুরো ঘটনাটি জানতে চেয়েছেন । আমরা তা জানিয়েছি । পাশাপাশি অভিযুক্তর ফাঁসির দাবিও করেছি । ”
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box