Breaking News

বাড়ির কার্নিস ভেঙে আহত ৩ পুলিশকর্মী

বাড়ির কার্নিস ভেঙে আহত ৩ পুলিশকর্মী

কলকাতা: এলাকায় একটি তদন্তের কাজে এসেছিলেন বড়বাজার থানার দুই সাব ইনস্পেক্টর । তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এক সিভিক qভলান্টিয়ার । কাজ শেষে ১৮৭ নম্বর রবীন্দ্র সরণির একটি তেতলা বাড়ির পিছনের গলি দিয়ে হেঁটে ফিরছিলেন তিন জন । তখনই ওই ১৮৭ নম্বর বাড়ির কার্নিস ভেঙে পড়ল তাঁদের উপরে । মঙ্গলবার দুপুর দুটো চল্লিশ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে । পুলিশ জানিয়েছে , আহত দুই সাব ইনস্পেক্টরের নাম পরিমল আদক ও বৈভব সরাফ এবং সিভিক ভলান্টিয়ার0 বাবুরাম দত্ত । এঁদের মধ্যে পরিমলের অবস্থা গুরুতর । তাঁর মাথায় ওই ঢালাই চাঁই ভেঙে পড়ে। 


পরিমলকে পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেসে এবং বৈভব ও বাবুরামকে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয়েছে । ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় , রাস্তায় পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত । এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান , কংক্রিটের চাঙড় প্রথমে পরিমলের মাথায় পড়ায় তাঁকে বাঁচাতে যান সঙ্গী দু’জন । তাঁদেরও উপরেও পড়ে কংক্রিটের অবস্থায় সেখানেই হাতে টুকরো । রক্তাক্ত বসে পড়েন পরিমল । তাঁর থাকা বইপত্র ও ফাইল ছিটকে পড়ে রাস্তায় । বৈভবের মুখে এবং বাবুরামের কাঁধে আঘাত লেগেছে । পুলিশ সূত্রের খবর , আহতদের প্রথমে বড়বাজারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । 


ইনস্টিটিউট অব এবং অন্য দু’জনকে পরে পরিমলকে নিউরোসায়েন্সেসে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয় । রবীন্দ্র সরণির যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটে সেটি যথেষ্টই জনববহুল । ফলে কার্নিস ভেঙে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত , মনে করছেন স্থানীয়েরা । যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে তার উল্টো দিকে রয়েছে ব্যাঙ্ক । দোকানদার লালু সাউ বলেন , “ ব্যাঙ্কের কর্মীরা অনেক সময়ই ওখানে দাঁড়িয়ে কথা বলেন । ব্যাঙ্কে বহু লোকজন যাতায়াত করেন । সুতরাং গলির ভিতর দিয়ে লোকের আনাগোনা লেগেই থাকে । যেভাবে কংক্রিটের চাঙড় ভেঙে পড়ছিল , তাতে আরও মানুষ আহত হতে পারতেন । ” ১৮৭ নম্বর ওই বাড়িটি জুড়ে রয়েছে দোকান ও অফিস ।


অভিযোগ , দীর্ঘদিন ধরেই বাড়ির কোনও রক্ষণাবেক্ষণ হয় না । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি , রবীন্দ্র সরণিতে এ রকম বহু বাড়িই রয়েছে , যা পুরসভা থেকে বিপজ্জনক ঘোষণা না করলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলোর অবস্থা বেহাল । বাড়ির গা বেয়ে বেড়ে ওঠা বট - অশ্বত্থ আরও দুর্বল করে দিচ্ছে কাঠামো । বেশ কিছু বাড়ির নীচ যাওয়ার সময়ে চাঙড় খসে পড়ার আশঙ্কা তাড়া করে তাঁদের । বাসিন্দাদের কারও কারও মতে , দফায় দফায় বৃষ্টি হতেই হয়তো এমন অঘটন ঘটল । তবে কেন কলকাতা পুরসভার নজর নেই ? এলাকাটি পুরসভার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত । ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহেশ শর্মা বলেছেন , “ এই ওয়ার্ডে এ ধরনের বিপজ্জনক বাড়ির তালিকা তৈরি করে মেয়রকে দ্রুত জমা দেব । ” — নিজস্ব চিত্র

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ