Breaking News

করোনা - কর্মীদের বেতন বন্ধ লন্ডন মিশন হাসপাতালে

জিয়াগঞ্জ: অতীত গরিমা হারিয়ে কার্যত শেষের জিয়াগঞ্জ লন্ডন প্রহর গুনছিল মিশন হাসপাতাল । করোনাকালে এই হাসপাতালই রূপান্তরিত হয় কোভিড হাসপাতালে । ২০২০ সালের জুন মাস থেকে ৫৯ জন নার্স ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের নিয়ে শুরু হয় কোভিড হসপিটাল । লালবাগ , জিয়াগঞ্জ , আজিমগঞ্জ , লালগোলা , ভগবানগোলা - সহ বিস্তীর্ণ এলাকার কোভিড আক্রান্ত রোগীরা পরিষেবা পেয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে । সে সময় কার্যত নাওয়া - খাওয়া ভুলেছিলেন করোনা যোদ্ধারা । বর্তমানে করোনার ভয়াল রূপ অনেকটাই স্তিমিত । হাসপাতালে নেই করোনা রোগীর ভিড় ৷ 

করোনা - কর্মীদের বেতন বন্ধ লন্ডন মিশন হাসপাতালে

ফলে আপাতত ‘ প্রয়োজন ফুরিয়েছে তাঁদের ’ , আর তাই বেতনও বন্ধ হয়ে গিয়েছে , খেদ ফ্রন্টলাইন কর্মীদের । তাঁদের দাবি , এপ্রিল মাস থেকে বেতন পাচ্ছেন না তাঁরা । হাসপাতালের কর্মীরা জানাচ্ছেন , ২০১৬ সালে উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও পুরসভা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই হাসপাতাল । ২০২০ সালের জুন মাসে রাজ্যের তরফ থেকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পরই নতুন আশায় বুক বাঁধেন তাঁরা । হাসপাতাল পুনরায় স্থায়ী ভাবে চালু করতে সরকার উদ্যোগী হবে বলে আশাবাদী ছিলেন তাঁরা । কিন্তু বর্তমানে তাঁরাই হতাশার সুরের জানাচ্ছেন , স্বাস্থ্য দফতর হাত তুলে নিয়েছে তাঁদের মাথার উপর থেকে । 


২০০৮ সালে যখন পুরসভার অন্তর্গত লন্ডন মিশন হাসপাতাল পরিষেবা দিচ্ছিল , তখনই নার্স হিসেবে যোগদান করেন । নিবেদিতা মণ্ডল পাল - সহ আট জন নার্স । নিবেদিতা বলেন , “ আপাতত লন্ডন মিশনে কোনও রোগী নেই । গত মার্চ মাস পর্যন্ত আমাদের বেতন নিয়মিত দেওয়া হত জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে । কিন্তু এপ্রিল থেকে আমাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানতে পারি জিয়াগঞ্জ হেল্থ সেন্টারের বিএমওএইচ মারফত । ” তাঁর আরও দাবি , “ আগামী সাড়ে চার বছরের জন্য আমাদেরকে অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয় মৌখিক ভাবে এবং কোনও কর্মীর কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটলে তাঁর পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় । হঠাৎ করে প্রতিশ্রুতিভঙ্গ 


করে মাঝপথে আমাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হল এবং ঠেলে দেওয়া হল এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে । ” করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় জিয়াগঞ্জ লন্ডন মিশন হাসপাতাল থেকে আট জন ও বহরমপুর থেকে কয়েকজনকে বেশ কলকাতায় নিয়ে গিয়ে নীলরতন সরকার হাসপাতালে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় । 4 প্রসঙ্গে হাসপাতালের কর্মীরা বলছেন , “ সেদিন ভেবেছিলাম এ বার আমাদেরকে স্বাস্থ্য দফতর থেকে যথাযথ মান্যতা দেওয়া হবে । আমরা বর্তমানে নিয়মিত রোটেশনে চব্বিশ ঘণ্টা ডিউটি করে চলেছি । কারণ স্বাস্থ্য দফতরের বহু মূল্যবান সামগ্রী এখনও হাসপাতলে বর্তমান । ” এ বিষয়ে স্থানীয় হেল্থ সেন্টারের বিএমওএইচ € লন্ডন মিশন হসপিটালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডাঃ আকাশ ব্যানার্জী বলেন , “ ৫৯ জন নার্স ও ফ্রন্টলাইন কর্মীকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিল । 


তাঁদেরকে কোনওরকম নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি সেইসময় । নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে ছিল জিয়াগঞ্জ - আজিমগঞ্জ পুরসভা । কিন্তু এদের বেতন দেওয়া হত স্বাস্থ্য দফতর থেকে । যেহেতু কোভিড হাসপাতাল আর নেই , সেইহেতু এদের আপাতত আর কোনও কাজ নেই । ” অবশ্য পুরসভা যদি মনে করে তাঁদের 4 অন্য জায়গায় নিয়োগ করতে পারে । বলেও জানান তিনি । তাঁর কথায় , “ যদিও লন্ডন মিশন একটা ট্রাস্টির জায়গা । বর্তমানে রাজ্যের অধীনস্থ পুরসভার দায়িত্বে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় । তবুও আমরা চেষ্টা করছি , অন্য কোনও ইউনিট চালু করার ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

Please do not enter any spam link in the comment box