পদ্মা সেতুর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। কলকাতার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ডিজিটাল সাইনবোর্ডের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও দেখানো হয়েছে।
প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারাও বাংলাদেশের স্বপ্ন জয়ের সাক্ষী। পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। একই সময়ে, কলকাতার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ডিজিটাল সাইনবোর্ডে দিনব্যাপী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হয়েছে।
পদ্মা সেতু যেমন বাংলাদেশের স্থিতিস্থাপকতা ও সক্ষমতার প্রতীক, তেমনি এটি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাবিদ ডাঃ পবিত্র সরকার বলেন, দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশের জন্য একটি গর্বের দিন। এটা একটা নতুন তাজমহল বানানো বা নোবেল পুরস্কার জেতার মতো।
পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ বলেন, “এটা সবার জন্য খুব ভালো হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ এবং এই উপমহাদেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ উন্নত হবে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সাক্ষী হচ্ছে কলকাতাবাসীও
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হবে। আপনি কয়েক ঘন্টার মধ্যে ঢাকা যেতে পারেন।
কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর বলেন, "এটি একটি বিশাল পরিবর্তন।" বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মানুষের চলাচলের জন্য ব্যাপক সুবিধা। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য চলাচল এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন অনেক কমে যাবে।
পদ্মা সেতু: বিশ্বব্যাংকের সামনে আনন্দ মিছিল করবেন প্রবাসীরা
ভাষা, সংস্কৃতি ও খাদ্য থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সাথে জড়িত। এত দিন দুই দেশের মানুষকে ওই সংযোগে যাতায়াত করতে নানা অসুবিধায় পড়তে হয়েছে, পদ্মা সেতুর গেট খুলে দিলে সব ভোগান্তি দূর হবে। ব্যক্তিগত হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭,০০০ পর্যটক ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণ করেন। পদ্মা সেতুর কারণে এ সংখ্যা অনেক বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box