Breaking News

টেট উত্তীর্ণেরা ভিড় সামলাচ্ছেন সাগরে

 

টেট উত্তীর্ণেরা ভিড় সামলাচ্ছেন সাগরে


গঙ্গাসাগর: চক-ডাস্টার হাতে কচিকাঁচা সামলাবেন। এটাই ইচ্ছে, এটাই তাঁদের শৈশবলালিত স্বপ্ন।


কিন্তু অবস্থার ফেরে আপাতত গঙ্গাসাগর মেলার ভিড় সামলাচ্ছেন তাঁরা। কারণ, উচ্চশিক্ষার পরে কেউ টেট পাশ করেছেন, কেউ আবার দীর্ঘ অপেক্ষার পরে এ বছর বসেছেন টেটে। কিন্তু সব জট কাটিয়ে চাকরি মিলবে কি না, সন্দিহান অনেকেই। অন্য চাকরিও অধরা। বাধ্য হয়েই নিয়েছেন সিভিল ডিফেন্স কর্মীর প্রশিক্ষণ। সাগরমেলায় পুণ্যার্থীদের শরীরস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা সেখানেই ব্যস্ত 'সিভিল ডিফেন্স' কর্মী রাহুল মণ্ডল।


দেখভালের কাজে নেমেছেন। কচুবেড়িয়ায় জেটি ঘাটের দায়িত্বে থাকা রাহুল একাই যে টেট পাশ, তা নয়। এ বছর টেট দেওয়া গঙ্গাসাগরের সিভিল ডিফেন্সের কর্মীর তালিকায় আছেন অমিত মান্না, শুভাশিস দাস, তমালিকা মাইতির মতো অনেকে। চোখে তাঁদের দিন বদলের স্বপ্ন। সাগর ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা তাঁরা। এখন কেউ সমুদ্রতট সামলাচ্ছেন, কেউ থাকছেন মন্দির বা জেটি সংলগ্ন এলাকায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সাগরমেলায় এ বার ভিড় সামলানো, অসুস্থদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব কার্যত সামলাতে হচ্ছে অমিতদেরই।


সংস্কৃতে স্নাতক রাহুল ২০১৪ সালে আপার প্রাইমারির টেটে বসেন, পাশও করেন। স্থানীয় রুদ্রনগরের বাসিন্দা রাহুল জানান, টেটের ফল বেরোতে দেরি দেখে তিনি চলে যান সৌদি আরবে। সৌদিতে থাকাকালীন ফল বেরোয়। তাই টেট পাশ করেও চাকরির জন্য আর আবেদন করা হয়নি। পরে ফিরে এসে সিভিল ডিফেন্সের প্রশিক্ষণ নেন। রাহুলের কথায়, “ছোট থেকেই শিক্ষক হওয়ার ইচ্ছা।” দেশে ফিরে এসে এ বছর আবার টেটে বসেছেন রাহুল। শিক্ষক নয়, কয়েক মাস আগে স্থানীয় একটি স্কুলে দু'হাজার টাকার বেতনে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে যোগ দিয়েছেন রাহুল।


ইতিহাসে স্নাতক অমিতও চান শিক্ষক হতে। তিনি এ বছর প্রথম টেট দিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, “আইনি জট কাটিয়ে আদৌ নিয়োগ হবে তো?” জানা গিয়েছে, সিভিল ডিফেন্সের কাজে দৈনিক ৫৬৫ টাকা মেলে। সেটাও পাওয়া যায় মেলার মাস তিনেক পরে। এই নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ আছে বিস্তর। মেলার কয়েক দিন ডাক এলেও বছরের বাকি সময়ে কাজ

বিশেষ মেলে না বলে অভিযোগ। তবু জেগে থাকে আশা। স্বপ্ন দেখতে থাকেন রাহুল-অমিতেরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ